কক্সবাজার, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমারে জাপানের বিশেষদূত

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় জাপান বিশেষ দূত নিয়োগ করেছে বলে জানালেন দেশটির ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনীতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিক্যাব টকে অংশ নিয়ে তিনি আরও জানান, আগামী বছরই প্রত্যাবাসন শুরু করতে আশাবাদী তারা।

২০১৭ সালের আগস্টে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পর জোরদার হয় আন্তর্জাতিক তৎপরতা। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর কথা হলেও হালে পানি পায়নি তা।

সম্প্রতি মিয়ানমারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে চীনের পাশাপাশি আগ্রহ দেখিয়েছে জাপানও। কতদুর এগোলো সে উদ্যোগ?
এরইমধ্যে মিয়ানমারে বিশেষ দূত নিয়োগ করেছে জাপান। চলতি বছরের আগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনার পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মিয়ানমারে পাঠান। তিনি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর এবং সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

এ সময় তার কাছে প্রশ্ন ছিল, একদিকে জাপান মিয়ানমারে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক পরিষদগুলোতে বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকছে, অন্যদিকে প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার কথা বলছে, এটা কিভাবে সম্ভব?
জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, জাপান এশিয়ার অংশ, মিয়ানমারও এশিয়ার অংশ। মিয়ানমারের উন্নতি আমাদের গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা। জাপানি কোম্পানীগুলোর সেখানে বিনিয়োগের আগ্রহ আছে। বাংলাদেশের মতো মিয়ানমারও জাপানের নিকটতম বন্ধু। রোহিঙ্গা বিষয়ে জাতিসংঘে জাপান কি করছে, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিয়ানমারে কি আলোচনা করছে।

বর্তমানে ৩১৫ টি জাপানিজ কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেছেন ২০২১ সালের শেষদিকে মেট্রোরেল উদ্বোধন করা যাবে।

পাঠকের মতামত: